ইসরায়েলে ‘ট্রু প্রমিস’ নামে চালানো হামলায় ঠিক কতটি ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা আনুষ্ঠিকভাবে জানায়নি ইরান। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, হামলায় ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই ইরানের তৈরি ড্রোন আন্তর্জাতিক বিশ্বে শিরোনাম গড়েছে; বিশেষ করে, বছর দুই আগে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর থেকে ইরানি ড্রোনের চর্চা চলছে আন্তর্জাতিক সামরিক অঙ্গনে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের তৈরি ‘শাহেদ’ নামক ড্রোন রাশিয়া ইউক্রেনের ভূখণ্ডে লাগাতার ব্যবহার করে চলেছে।
রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইসরায়েলের ওপর হামলায় প্রায় ৫০ কেজি (১১০ পাউন্ড) ওজনের অপেক্ষাকৃত ছোট ওয়ারহেড বহনকারী শাহেদ-১৩৬ কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।
আইআরজিসি-এর সঙ্গে যুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলো জনিয়েছে, হামলায় শাহেদ-২৩৮ও ব্যবহার করা হয়েছে। ২৩৮ মডেলটির গতি তুলনামূলক বেশি।
ধারণা করা হয়, এটি ৬০০কেএমপিএইচ (৩৭২ এমপিএইচ) পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। এছাড়া, ইরান দীর্ঘকাল ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারের অধিকারী বলে পরিচিত। আর ইসরায়েলের ওপর সাম্প্রতিক এই হামলা ছিল দেশটির সক্ষমতার পরিচয় দেওয়ার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরও জানায়, ইসরায়েলের ওপর হামলায় দূরপাল্লার ইমাদ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পাভেহ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছিল। ইরানের কাছে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ফাত্তাহও রয়েছে।
ধারণা করা হয়, এটি ছোড়ার মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছাতে পারে; যদিও সাম্প্রতিক হামলায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সূত্র: আল-জাজিরা
অনুবাদ: মাহাদী আহমেদ