বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্রুত গতিতে তাদের আর্টিলারি আধুনিকায়ন কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে তারা তুরস্ক ও চীন থেকে সর্বাধুনিক আর্টিলারি সিস্টেম সংগ্রহ করছে, যা বিদ্যমান সার্বিয়ান প্ল্যাটফর্মগুলোকে পরিপূরক ও শক্তিশালী করবে।
এই বহুমাত্রিক উন্নয়ন “ফোর্সেস গোল ২০৩০” কৌশলগত পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি উচ্চ গতিশীলতা সম্পন্ন, প্রযুক্তিনির্ভর ও কৌশলগতভাবে সক্ষম বাহিনীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো দ্রুত মোতায়েন সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিখুঁত আঘাত হানার সামর্থ্য বাড়ানো এবং একটি জোরালো প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা—যা একটি পরিবর্তনশীল ও জটিল আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিবেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যেখানে জোট ও হুমকির ধরন ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে।
এই অস্ত্র সংগ্রহ কার্যক্রম একটি সুপরিকল্পিত কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে, যেখানে বহুমুখী উৎস থেকে অস্ত্র সংগ্রহের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ কোনও নির্দিষ্ট প্রতিরক্ষা সরবরাহকারীর ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এড়াতে পারবে এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ও কার্যকরী নমনীয়তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, নতুন এই আর্টিলারি সিস্টেমগুলোতে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফায়ার কন্ট্রোল প্রযুক্তি সংযুক্ত রয়েছে, যা উন্নত নিখুঁতা, দ্রুত লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নেটওয়ার্কভিত্তিক যুদ্ধক্ষেত্র সমন্বয় সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।