মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে আবারও বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প সরকার। হঠাৎ করেই প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি – ডিআইএ) প্রধানসহ দুই জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুই মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ডিআইএ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি ক্রুজকে কেন অপসারণ করা হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
শুধু ক্রুজ নন, ওই দিনই নৌ-বাহিনীর রিজার্ভ ইউনিটের প্রধান এবং নৌবাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ নেতৃত্বের (ন্যাভাল স্পেশাল ওয়্যারফেয়ার কমান্ড) কমান্ডারকেও তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা জানান, তারা কেউই এ সিদ্ধান্তের কারণ জানেন না।
তবে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ডিআইএর একটি গোপন রিপোর্ট গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর থেকে এই পদক্ষেপের জল্পনা তৈরি হয়। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, ২২ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলায় তেহরানের কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাসের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। অথচ ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, হামলায় ইরানের কর্মসূচি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প এবং একে “ভুয়া খবর” আখ্যা দেন।
মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির সহ-সভাপতি সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, “আরও এক জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে অপসারণ ট্রাম্প প্রশাসনের ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতার প্রতিফলন। তারা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে জাতীয় নিরাপত্তার পরিবর্তে আনুগত্য যাচাইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।”
এই পদক্ষেপকে প্রশাসনের আগের সিদ্ধান্তগুলোর ধারাবাহিকতা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এর আগে এপ্রিলে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) পরিচালক জেনারেল টিমোথি হফ এবং এক ডজনেরও বেশি নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাকে সরানো হয়। ফেব্রুয়ারিতেও হেগসেথ নেতৃত্বের বড় পরিবর্তন আনেন, যার মধ্যে ছিলেন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল সি কিউ ব্রাউন এবং আরও পাঁচজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা।