ইসরায়েলি সরকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি নতুন অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে যেটাকে একটি সরকারী ঘোষণা অনুসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি উন্নয়ন তদারকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং স্বায়ত্তশাসন প্রশাসন নামে এই সংস্থাটি দেশের সামরিক-প্রযুক্তি বাস্তুতন্ত্রের মূল খেলোয়াড় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় কাজ করবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অপারেশনাল প্রান্ত বজায় রাখার জন্য সমস্ত সামরিক শাখার যুদ্ধ ক্ষমতা রূপান্তর করাই এর লক্ষ্য।
অফিসটি ‘অভূতপূর্ব অপারেশনাল এবং প্রযুক্তিগত সাফল্য অর্জনের জন্য আইডিএফের প্রযুক্তিগত ইউনিট, একাডেমিয়া, প্রতিরক্ষা শিল্প এবং স্টার্টআপগুলির বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে’।
ইসরায়েল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হামাস এবং হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সমান্তরালভাবে বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে লড়াই করছে এবং এতে সৈন্যদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।
আইডিএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত যুদ্ধে অন্তত ৮৯১ জন সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৫৭০ জন সেনা।
ইসরায়েলি অভিযানের একটি অংশ প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যাদের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের আক্রমণের পর থেকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এটি আইডিএফের ইতিহাসে বৃহত্তম সেনা রিজার্ভ। এসব সেনাদের এক-তৃতীয়াংশ ১৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করেছে বা এখনও করছে।
ইসরায়েলের নতুন অফিস প্রতিষ্ঠার এটিও একটি কারণ, কারণ কর্মকর্তারা যুদ্ধের বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি এবং বাজেট হ্রাস করার আশা করছেন।
মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আইয়াল জামির বলেন, ‘আমরা যে সক্ষমতা অর্জন করেছি তা হতাহতের সংখ্যা হ্রাস, অপারেশনাল গতি বৃদ্ধি এবং সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের সময় আমাদের অপারেশনাল শ্রেষ্ঠত্ব বাড়িয়ে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্য ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থার সমন্বিত দল একত্রিতভাবে কাজ করবে। আমরা স্থল, আকাশ, নৌ, গোয়েন্দা এবং মহাকাশ সক্ষমতায় বিনিয়োগের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি যা আমাদের বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করে তাদের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে।’
সূত্র: ডিফেন্স নিউজ