21.9 C
New York
21.2 C
Zurich
27 C
Dhaka
Saturday, April 19, 2025
HomeDhakaআন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কী?

আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কী?

বর্তমানে পুরো বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম)। কিভাবে কাজ করে এ ক্ষেপণাস্ত্র, কেনই বা এ যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে বিশ্বের এতো মাথাব্যথা? চলুন জেনে নেয়া যাক।

• ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মূলত রকেট-চালিত। স্ব-চালিত এই অস্ত্র মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ব্যবহার করে সরাসরি লক্ষ্যে আঘাত হানে।

• আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটারেরও (৩ হাজার ৪২০ মাইল) বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

• মার্কিন থিঙ্কট্যাংক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) বলছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস চুক্তি নিউ স্টার্ট অনুযায়ী, আর-২৬ ক্ষেপণাস্ত্রকে আইসিবিএম হিসেবে মনে করা হলেও এটি মাঝপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শ্রেণীতে পড়ে। সাড়ে ৫ হাজারের কিলোমিটারের কম দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারী অস্ত্র বহন করতে পারে।

• তড়িৎগতির ফ্লাইট।

• আইসিবিএম-সহ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ডিপ্রেসড মোডে নিক্ষেপ করা যায়। এর অর্থ এই মোডে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র মহাকাশে প্রবেশ করে না এবং এর গতিপথ বায়ুমণ্ডলের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি বায়ুমণ্ডলে থাকাকালীন জ্বালানির বেশি ব্যবহার করায় পরিসীমার হ্রাস ঘটে।

• প্রতি সেকেন্ডে কয়েক কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে আইসিবিএম। সামরিক সূত্র অনুযায়ী, রাশিয়া থেকে যদি কোনও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট।

• ২০১২ সালে প্রথম সফল পরীক্ষা চালায় রাশিয়া।

• পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনের সক্ষমতা রেখে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের নকশা প্রস্তুত করা হয়। যদিও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে যেকোনও ধরনের পেলোড বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।

• যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, আরএস-২৬ ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

• সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বলেছে, ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো আরএস-২৬ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। এর দৈর্ঘ্য ১২ মিটার এবং ওজন ৩৬ টন। ৮০০ কেজি ওজনের একটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রবেশ ঘটেনি বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

9,600FansLike

Latest Articles